ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৮ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহবুবুল হকের আদালত পরবর্তী প্রতিবেদন দাখিলের নতুন করে এই তারিখ ধার্য করেন। এদিকে আনোয়ারুল আজিমকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামি দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। তারা হলেন, ঝিনাইদাহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, শিমুল ভূইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ ও তানভীর ভূইঁয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে উল্লিখিত আসামিদের জবানবন্দি প্রত্যাহারের বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত করা হয় আসামিদের। তাদের পক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীসহ আরও অনেক আইনজীবী শুনানি করেন। পরে আদালত আবেদনগুলো নথিভুক্ত রাখার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আসামিরা রিমান্ডে নির্যাতনের কারণে অসুস্থ বলে চিকিৎসার আবেদন করেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী কারাকর্তৃপক্ষকে চিকিৎসার নির্দেশ দেন। আসামিদের পক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, ১২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে মুমতারিন উল্লেখ করেন, রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার ঝিনাইদহে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই। ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেবো।’ এ ছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে। এখন পর্যন্ত এ মামলায় সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন, শিমুল ভূইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূইঁয়া, সিলিস্তা রহমান, কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু ফয়সাল আলী সাহাজী ও মোস্তাফিজুর রহমান। ঝিনাইদাহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু আদালতে জবানবন্দি দেননি। তিনি রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

এমপি আনার হত্যা মামলার প্রতিবেদন ৮ আগস্ট
- আপলোড সময় : ০৫-০৭-২০২৪ ০৩:৫১:২৭ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৫-০৭-২০২৪ ০৩:৫১:২৭ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ